জয়পুরহাটে ক্ষেতলাল ডায়রিয়া সর্দি-জ্বরের রুগীর হিড়িক

345

এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে গ্রামগঞ্জে জ্বর, ডায়রিয়া সর্দিকাশির রুগীর হিড়িক। ভর্তি হচ্ছেন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। সরজমিনে ক্ষেতলাল হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় সমন্তাহার গ্রামের মতিয়র রহমান মাষ্টার(৬৫) এর সাথে সে গত শুক্রবার রাত থেকে জ্বর ও ডায়রিয়া নিয়ে পুরুষ ওয়ার্ডের ৩২ নং বেডে ভর্তি আছেন। তিনি বলেন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে এখন কিছুটা সুস্থ্য আছি।

ইটাখোলা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ জিএম কিবরিয়া বলেন, কয়েকদিন থেকে আমার পরিবারের চারজন ডায়রিয়া ও সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে কয়েকদিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ খাচ্ছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে আছি। তবে করোনা পরীক্ষা করিনি। কালাই উপজেলার চকনয়াপাড়া গ্রামে এমরান (৪০) ডায়রিয়ায় ও সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার সকাল ১০টায় হাসপাতালের পুরুষ ওয়াডে ৩৭ নং বেডে, ক্ষেতলাল পৌরসভার মুন্দাইল মহল্লার আঃ আলিম ৪২ নং বেডে, আয়মাপুরের রহিম ৫৩ নং বেডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।

রবিবার সকাল ১০ টায় বহির্বিভাগে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে স্লিপ সংগ্রহের সময় কথা হয় আয়মাপুর গ্রামের শেফালী বেগম (৩০), একই লাইনে দাড়িয়ে থাকা কারিনা (৫০), শহিদুল (৫২), রশিদা (৫০) তারা বলেন, দুই তিনদিন থেকে জ্বর ও পেটের ব্যাথার কারনে আজ ডাক্তার দেখাতে এসেছি।কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এবারের গরম দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে ঠান্ড-গরম সংমিশ্রন দেখা দেয়ায় আবহাওয়া তারতম্য দেখা দিয়েছে। যেমন দুপুর ১টায় ২৬-২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলেও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ও রাত ৮টার দিকে তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রীতে নেমে আসছে।

এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে। ফলে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটছে। শ্বাসনালীর সংক্রমণে কাবু হচ্ছে সব বয়সি মানুষ। তবে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আতাউর রহমান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় জ্বর হবে এটাই স্বাভাবিক। জ্বর হলে ভয়ের কিছু নেই। হঠাৎ অত্যধিক গরম ও মাঝে মধ্যে বৃষ্টির কারণে সিজনাল জ্বর হচ্ছে।

চিকিৎসকের পরামর্শে চললে এ জ্বর তিন থেকে চার দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে কোন জ্বরকে হালকা ভাবে নেয়া উচিৎ নয়। জ্বর হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকার অনুরোধ জানান তিনি। হাসপাতালের আউটডোরে রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দেশে একদিকে করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। আবার সিজনাল জ্বর-সর্দি ও ডায়রিয়াতে অনেক আক্রান্ত হচ্ছে। জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে জ্বর-সর্দি না কমলে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করানো উচিৎ।

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।