![](https://www.prottashaprotidin.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মাসুম বিল্লাহ বরগুনা প্রতিনিধি: দুলাল নামের এক ব্যবসায়ীর নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করার সঠিক রহস্য ও জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিবারটি।
বৃহস্পতিবার(২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে তালতলী সাংবাদিক ফোরামে এসে এ দাবি জানান মা,স্ত্রী,ছেলেসহ দুলালের ভাইরা।
নিহতের স্ত্রী লিখিত বক্তব্যতে বলেন,উপজেলার মালিপাড়া এলাকার আমার ফুফা ছিদ্দিক হাওলাদের সাথে আমার স্বামী গার্মেন্স ব্যবসায়ী দুলালের সাথে ৭-৮ বছর পারিবারকি বিরোধ চলে আসছিলো। চলতি মাসেই আমার বাসা থেকে তিন লাখ টাকা চুরি হয়।
আমার ফুফি ও তার স্বামীকে সন্দেহ হলে গত ৯ সেপ্টেম্বর আমতলী জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রিস্ট কোর্টে ছিদ্দিক হাওলাদার ও তার স্ত্রী মাহিনুরকে আসামী কে একটি মামলা করেন আমার স্বামী দুলাল। এই মামলার জের ধরে ও চুরির বিষয়টি ধামাচাপা দেওরার জন্য ১০ সেপ্টেম্বর তালতলী থানায় আমার স্বামী দুলালকে আসামী করে একটি মিথ্যা হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন ছিদ্দিকের স্ত্রী।
এর পর থেকে গত ১১ সেপ্টেম্বর দুলাল নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পরে ১২ সেপ্টেম্বর আমার স্বামীর ফোন থেকে আমার নানা ও নানীর কাছে ফোন আসে তখন তিনি বলেন আমাকে ছালাম,ছিদ্দকসহ বেশ কয়েকজন অত্যাচার করতেছে। আমাকে ওরা মেরে ফেলবে আমাকে বাচাঁও। এর দুই দিন পরে ১৪ সেপ্টেম্বর উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের দশ কানিয়া এলাকা থেকে কোনো মতে ঝুলান্ত অবস্থায় দুলালারে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এঘটনায় তালতলী থানায় দুলালের স্ত্রী বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করেন। এঘটনায় জড়িত সন্দেহ ছিদ্দিক ও তার স্ত্রীকে আাটক করে।
তারা আরও বলেন তালতলী বাজারের পাশেই মালিপাড়া বাসা দুলালের সেখান থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুলাল যদি আত্যহত্যা করতো তা হলে বাসায় বসে করতো। তাকে হত্যা করা হয়েছে সুপরিকল্পিত ভাবে। সরকারের ও প্রশাসনের কাছে এই হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন ও জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।
সচেতন মহল বলছে দুলালের এই মৃত্যু সাধারণ না তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি ও সুষ্ঠ তদন্তের দাবি করেন সচেতন মহলের।
দুলালারের ১০ বছরের ছেলে আবদুল্লাহ্ বলেন,আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো আমার বাবার হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকারীদেও দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি করছি।
তালতলী থানার ওসি তদন্ত মো. ফরিদুল ইসলাম বলছেন দুলাল লাশ উদ্ধারের পওে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সাথে সাথে ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলা তদন্তধীন আছে।পুলিশ হত্যার সঠিক রহস্য উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না। |