নওগাঁ মান্দায় আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি!   

233

মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ প্রতিনিধি ঃ নওগাঁর মান্দা উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেইসাথে একাধিক স্থানে বাঁধ ভেঙে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিনের একটানা প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নওগাঁর আত্রাই নদীর পানি। বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষজন গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।

 

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বন্যার কবলে পড়ে আত্রাই এবং ফকিরনি নদীর উভয় তীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ৫০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে এ দুই নদীর উভয় তীরের ৫টি বেড়িবাঁধ ও জোকাহাট দাসপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে মান্দা-আত্রাই আঞ্চলিক সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

 

গত বন্যার সময় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় দুর্গত এলাকার অনেক মানুষ বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। ভাঙনকৃত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ জোকাহাট (চকরামপুর) দাসপাড়া। বেড়িবাঁধগুলো হচ্ছে পার-নুরুল্যাবাদ মন্ডলপাড়া, চকরামপুর, কয়লাবাড়ি ও বাইবুল্যা।

 

এসব বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে ধান, পাট ও সবজির ক্ষেত। ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ। এর মধ্যে ২০১৭ সালের বন্যায় বুড়িদহ সুজন সখীর ঘাটে,বনকুড়া, চকরামপুর ও কয়লাবাড়ি বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর আর মেরামত করা হয়নি। এতে করে নদীর পানি বাড়ার ফলে এসব ভাঙন স্থান দিয়ে পানি ঢুকে অসংখ্য পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

 

পানির প্রবল চাপে আত্রাই নদীর উভয় তীরের তানইল, আঁয়াপুর, কালিকাপুর, গোসাইপুর,থানার মোড়, বনকুড়া, দক্ষিণ চকবালু, জোকাহাট, কয়লাবাড়ি, শহরবাড়ি ভাঙ্গীপাড়া, নুরুল্লাবাদ নিখিরাপাড়া, করাতিপাড়া, জোতবাজার, বাগাতিপাড়া, পশ্চিম নুরুল্যাবাদ, বুড়িদহ,শামুকখোলসহ ৫০টি পয়েন্ট চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে দিনরাত কাজ করছেন স্থানীয়রা। বাঁধে রাতে বসানো হয়েছে পাহাড়া।

 

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা আত্রাই নদীর ডান তীরে নুরুল্যাবাদ থেকে মিঠাপুর-বান্দাইখাড়া পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ২ থেকে ৩ ফুট নিচে পানি অবস্থান করছে। কোথাও কোথাও মূল বাঁধ টপকে পানি পার হওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। বালুর বস্তা ফেলে পানি ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।

 

মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) আব্দুল হালিম বলেন, ‘আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার কাজ চলছে।

 

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।