![](https://www.prottashaprotidin.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মাহবুবুজ্জামান সেতু, ব্যুরো প্রধান ঃ নওগাঁর মান্দায় রাস্তার পার্শ্বে ড্রেন নির্মাণে কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় পথচারিদের চরম ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।
জানাগেছে, গত কয়েক মাস পূর্বে পয়:নিষ্কাশনের জন্য নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের কুসুম্বা মোড় হইতে- কুসুম্বা ডি পি বি স্কুলের মোড় পর্যন্ত ৩০০ মিটার ড্রেন নির্মাণ কাজ করা হয়। ড্রেন নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর হইতে এখন পর্যন্ত ড্রেনের পাশে মাটি দিয়ে সমান করে না দেওয়ায় ড্রেনটি পথচারিদের জন্য পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। নওগাঁ-রাজশাহী যাতায়াতের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম রাস্তা। কুসুম্বা মোড়ের উত্তর- পশ্চিম কর্ণারে রয়েছে অসংখ্য বসতবাড়ি, দোকানপাট, একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, দূর্গা মন্দির,কালী মন্দির, ১টি প্রাইমারী স্কুল, ২টি হাইস্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ এবং একাধিক ইটভাটা। আর সবসময় এ ড্রেনের উপর দিয়ে অথবা এর পাশ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচারিদের চলাচল করতে হয়।
সরেজমিন গেলে স্থানীয়রা জানায়, অপরিকল্পিতভাবে ড্রেনটি নির্মাণে পথচারিদের জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যেনো দেখার কেউ নেই! এরপর বাধ্য হয়ে কুসুম্বা মোড়ের স্থানীয় কিছু দোকানদাররা নিজেদের চলাচলের সুবিধার্থে পকেটের টাকা খরচ করে ড্রেনের পাশে ওইসব গর্ত ভরাট করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এমনকি ওই মোড়ের আশেপাশে বসবাসকারী বড় ধরনের এক্সিডেন্টের শঙ্কা করছেন।
উল্লেখ্য,রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ করার সময় অনেক বড় গর্ত করা হয়েছিলো। এরপর ড্রেন নির্মাণ কাজ করা হয়। ওই সময় রাস্তার পাশে থাকা দিক চনির্দেশক সাইনবোর্ড,ইট- সিমেন্ট দিয়ে তৈরী কিলোম্যাপ, ড্রেন নির্মাণ সামগ্রীগুলো রাস্তার পাশে ফেলে রাখা এবং ড্রেনের পাশের গর্তগুলোতে মাটি দিয়ে ভরাট করে না দেওয়ায় অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা। পথচারিদের ভোগান্তি নিরসনে অতি দ্রুত এ ড্রেনটির পাশের গর্তগুলোতে মাটিদিয়ে ভরাট করাসহ রাস্তার পাশে থাকা নির্মাণ সামগ্রীগুলো সড়িয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নওগাঁ’র সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হামিদুল হক জানিয়েছেন যে, আগামী ২/৩ দিনের মধ্যেই ড্রেনের পাশে মাটি ভরাটের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে ।
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না। |