কাহালুর কালাই ইউপি নির্বাচনে আঃলীগের মনোনয়ন চাইবেন রুবেল

163
কাহালুর কালাই ইউপি নির্বাচনে আঃলীগের মনোনয়ন চাইবেন রুবেল
কাহালুর কালাই ইউপি নির্বাচনে আঃলীগের মনোনয়ন চাইবেন রুবেল

কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ কাহালু উপাজেলার কালাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ রুবেল হোসেন আগামী ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের সরদার হান্নানের কাছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে গেলেও ইউনিয়নের রাজনীতিতে তিনি আরো সক্রিয় হয়ে উঠেন। তখন থেকেই তিনি ইউনিয়নবাসীর আস্থা অর্জনে বিভিন্ন সমাজ সেবা মূলক কাজ প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছেন।

সোমবার এই প্রতিবেদকের সাথে সাক্ষাতকারে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তাদের পরিবারের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরেন। তার পিতা মরহুম কমর উদ্দিন কালাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তার বড় ভাই তিনদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন কালাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিন যাবত সভাপতি ছিলেন। তাদের গোটা পরিবারই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী।

যার ফলে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে শারীরিকভাবে নির্যাতিত হওয়াসহ তাদের পরিবারের প্রায় সকল সদস্যের বিরুদ্ধে ওই সময় অন্যায়ভাবে মোট ৪টি মামলা দিয়ে দিনের পর দিন হয়রানী করা হয়েছে। রুবেল ১৯৭৬ সালের ৫ নভেম্বর উত্তরা গ্রামের উল্লেখিত সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এস এস এবং এম এস এস পাশ করেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি কালাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

পরবর্তিতে বগুড়া সরকারি শাহসুলতান কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে বগুড়ায় বিএনপি-জামাত জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মি কতৃক হামলার শিকার হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি ব্র্যাকের চাকুরীর সুবাদে যুক্তরাস্ট্রের নিউইয়র্কে ইন্টারন্যাশনাল সোস্যাল ডেভলপমেন্ট স্পেশালিষ্ট হিসেবে আরেক নতুন কর্মময় জীবন শুরু করেন। সেখানে প্রায় ৫ বছরের অধিক সময় কর্মরত থাকার সময় সেখানে ওই রাজ্যের আওয়ামীলীগের সদস্য হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের শেষের দিকে তিনি চাকুরী ছেড়ে দেশে ফিরে সক্রিয়ভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন।

২০১৬ সালের ২৮ মে কালাই ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে ৩৯৭৫ ভোট পেয়েছিলেন। মাত্র ২০০ ভোটের ব্যবধানে আরেক সতন্ত্র প্রার্থীর কাছে তিনি পরাজিত হন। সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই জনগনের আস্থা অর্জনে আরো ভালোভাবে তিনি ওই ইউনিয়নে সামাজিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভুমিকা রাখেন। দলীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়ে ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি রাস্তা পাকাকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন।

বিভিন্ন ধর্মীয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, গরীব-দুঃখী মানুষকে আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসা খরচ দেওয়াসহ তাদের বিপদে-আপদে ছুটে যান এই তরুণ নেতা। ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদে কোরান শরিফ প্রদান, গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বই কিনে দেওয়াসহ তিনি মানুষকে নানাভাবে সহযোগীতা করে থাকেন। রুবেল জানান, অর্থনৈতিকভাবে আমরা সব ভাই মোটামুটি সচ্ছল। যারফলে মানুষের সেবা করার জন্যই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করতে চাই। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি অনেকটা আশাবাদী বলেও জানান।

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।