বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তৎপরতা বৃদ্ধি

216
বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তৎপরতা বৃদ্ধি
বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তৎপরতা বৃদ্ধি

মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে নিজ নিজ সমর্থক ও ভোটারদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে চলেছেন। সময় পেলেই ছুটে চলছেন ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর, খাবারের হোটেল ও চায়ের দোকানগুলিতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বেশি বেশি উপস্থিতি লক্ষণীয়।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, এ ইউনিয়নে আগামি ইউপি নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান সওকাদুল ইসলাম সরকার সবুজ ও গত বারের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি এ্যাড. সোলায়মান আলী ছাড়াও কয়েকজন নতুন মুখ নির্বাচনে প্রার্থী হবার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে গোকুল ইউনিয়ন আওয়ালীগের আহবায়ক ও বর্তমান ইউপি সদস্য আলী রেজা তোতন, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও ইউপি সদস্য আইউব খান, বিশিষ্ট পরিবহন ব্যবসায়ী ও গোকুল ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং এর সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও সজল জরিঘরের সত্ত্বাধিকারী আকমল হোসেন সজল, সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল মোমিনের জামাতা মোফাসসার আহম্মেদ লিটন।

আগ্রহীদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান সওকাদুল ইসলাম সরকার সবুজ, আলী রেজা তোতন, জিয়াউর রহমান জিয়া আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়নে এবং বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. সোলায়মান আলী, আইউব খান ও আকমল হোসেন সজল ও মোফাস্সের হোসেন লিটন বিএনপির দলীয় মনোনয়নে নির্বাচনে আগ্রহী। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও জিয়াউর রহমান জিয়া ও মোফাস্সের হোসেন লিটন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন ।

বতর্মান চেয়ারম্যান সওকাদুল ইসলাম সরকার সবুজ বগুড়া সদর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি। সঙ্গত কারনে তিনি এবারো আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়নের মাধ্যমে নির্বাচন করবেন। তিনি জানান, নির্বাচিত হবার পর অত্র ইউনিয়ন পরিষদের নতুন কমপেক্স ভবন নির্মান, পাকা রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শান্তি শৃংখলা বজায়, শিক্ষার মান উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নয়ন সাধন করেছি। সেইসাথে সাধারন জনগণকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেছি। সার্বিক বিষয়ে ইউনিয়নের জনগণ অনেকটা খুশি বলে তিনি জানান। যেকারনে আগামি নির্বাচনে জনগণ আবারো ভোটে তাকে বিজয়ী করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও বর্তমান ইউপি সদস্য আইউব খান জানান, দীর্ঘদিন থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। দলের জন্য কাজ করার পাশাপাশি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। সুখে দুখে তাদের পাশে রয়েছেন। এ জন্য জনগণ তাকেই সমর্থন ও ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নির্বাচিত হলে তিনি ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে জানান। এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থী বিশিষ্ট পরিবহন ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের পাশে থেকে বিভিন্নমুখী সমাজ সেবামুলক কাজ করে আসছি।

ইউনিয়নে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, জনগণকে কাঙ্খিত সেবা দেয়া, বেকার সমস্যা দরীকরণ এবং সারা ইউনিয়নে সুষম উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের উদ্দেশেই নির্বাচন অংশ নেয়া। জনগণের ভালবাসা ও সমর্থনে তিনি নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আশা করেন। আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ালীগের আহবায়ক বর্তমান ইউপি সদস্য আলী রেজা তোতন জানান, তার প্রতি দল ও জনগণের সমর্থন এবং ভালবাসা রয়েছে। সেইসাথে ইউনিয়ন আওয়ীলীগের তৃণমুল নেতাকর্মীদের সাথে রয়েছে নিবির সম্পর্ক। সেক্ষেত্রে আগামি ইউপি নির্বাচনে দল তাকেই মনোনয়ন দিবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে বিজয়ী হবার ক্ষেত্রে যথেষ্ট আশাবাদী বলে তিনি জানান।

চেয়ারম্যান পদে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি সাবেক ছাত্রদল নেতা আকমল হোসেন সজল জানান, বড় পরিষরে জনগণের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থেকেই নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান। ছাত্রজীবন থেকে স্বচ্ছ রাজনীতি করার মাধ্যমে এলাকায় তার একটা ভাল ইমেজ রয়েছে। এলাকার উন্নয়নে তিনি সাধ্যমতে সক্রিয় থাকেন। সেইসাথে ইউনিয়ন বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছেন বলে জানা যায়। এ কারনে দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে জয়ী হতে পারবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

নির্বাচিত হলে সাংগঠনিক মেধা ও দক্ষতা দিয়ে ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপর্ণ ভুমিকা রাখতে পারবেন বলে বিএনপির এ নেতা বিশ্বাস করেন। তবে দলের মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলীয় যেকোন সিদ্ধান্তের প্রতি তিনি আনুগত্যশীল থাকবেন বলে জানান। এদিকে তরুন সম্ভাব্য প্রার্থী মোফাসসার আহম্মেদ লিটন নির্বাচনে জয়ী হয়ে নাগরিক সেবার গুনগত পরিবর্তন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি আরো জানান, নির্বাচনে জয়ী হলে কাঙ্খিত সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিবেন। মানুষর কল্যাণে বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন বলে জানা যায়।

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।