![](https://www.prottashaprotidin.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ছামিউল ইসলাম, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: শীতের পূর্ব প্রস্তুতি চলছে দিনাজপুরের হিলিতে। তবে এখনও শীতের গরম পোষাক বিক্রি শুরু হয়নি বাজারের গার্মেন্টসগুলোতে। শীতের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পোষাক মার্কেটে শীতের গরম কাপড় কেনার ধুম এখনও পড়েনি। স্বাভাবিক কাপড় ক্রয় করতে এসেছেন ক্রেতারা।
দোকানিরা বলছেন, শীতের গরম কাপড় বেচা-কেনা এখনও শুরু হয়নি। দিনে দুই-চারটি করে গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। বাজারের প্রতিটি দোকানে শীতের জন্য বিভিন্ন প্রকার বিদেশি কম্বল, ভারতীয় চাদর, জ্যাকেট, ছুয়েটারসহ দেশি শীতের গরম পোশাক সাজানো রয়েছে।
এদিকে তুলা বাজারে শুরু হয়েছে তুলার বেচা-কেনা আর লেপ তৈরির ধুম। ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষক তৈরি কারিগররা।
লেপ সেলাই কারিগর আলামিন, সুলতান ও হোমায়ন বলেন, আমরা তিনজন মিলে এক সাথে লেপ-তোষক সেলাইয়ের কাজ করি। ১০ থেকে ১২ দিন থেকে লোকজন লেপ সেলাই করতে আসছেন। প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ টি লেপ সেলাই করছি।
লেপ তৈরি করতে আসা মরিয়ম বেগম বলেন, বাড়িতে যে লেপ আছে তা দিয়ে আগের লোকসংখ্যার চাহিদা পুরন হয়েছে। এখন বর্তমান ছোট বাচ্চারা বড় হয়েছে, তাই ওদের জন্য আলাদা লেপের প্রয়োজন হবে, তাই তাদের জন্য দুইটি লেপ বানাচ্ছি।
তুলা ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক খাঁন বলেন, এখন শীতের কাজ পুরোদমে শুরু হয়নি। শীতের প্রভাব এখনও পড়েনি। তবে শীতের পূর্ব প্রস্তুতির জন্য লোকজন আগাম লেপ তৈরি করছেন।
হিলি বাজার মার্কেটে চাদর কিনতে আসা জেসমিন আক্তারের সাথে কথা হয়, তিনি বলেন, আমি মার্কেটে আসছি একটা ভাল মানের চাদর কিনতে। কয়েকটি দোকানে ঘুরেছি, চাদর আছে, পছন্দও হচ্ছে তবে দামটা একটু বেশি চাচ্ছে দোকানিরা।
হিলি বাজারের বৃষ্টি গার্মেন্টেসের দেলোয়ার হোসেন বলেন, এখনও শীতের তেমন প্রভাব নেই। গরম কাপড়ের বেচা-কেনা তেমন শুরু হয়নি। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে গরম পোষাকের কেনা-বেচা বাড়বে।
হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, পৌরবাসীর জন্য শীতের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েছি। শীতের তেমন প্রভাব এলাকায় পড়েনি। প্রতি বছর শীত মৌসুমে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকি। এবছরেও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম জানান, শীতের আগাম সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শীতার্তদের জন্য সরকারি বরাদ্দ রয়েছে। শীতের প্রভাব পড়লে, তাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না। |