মহাদেবপুরে নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সামনে এগিয়ে চলেছে জয়িতা নারী

257

 

সাজ্জাদ হোসেন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ- নওগাঁর মহাদেবপুরে নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সামনে এগিয়ে চলেছে ৪জন জয়িতা নারী। জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক কার্যক্রম আওতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রানালয়াধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করছেন।

নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের আগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে হলে নারীর সাফল্য, নারীর জীবন সংগ্রাম, নারীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ধারা অব্যাহত রাখতে মহাদেবপুর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন হতে ৫ টি ক্যাটাগরির মধ্যে ৪টি ক্যাটাগরিতে ৪জন জয়িতা নিবার্চনে বিজয়ী হয়েছেন।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আমিনা খাতুন ” দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন ” কে জানান, অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন কারী নারী’ সারতা গ্রামের আহসান হাবীবের স্ত্রী মোছাঃ শাপলা বানু। স্বামির সয়-সম্পত্তি না থাকায় অতিকষ্টে দারিদ্রের সংঙ্গে যুদ্ধ করে স্বামীর উপার্যিত টাকা থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা করে ২ হাজার টাকা সঞ্চয় দিয়ে মেয়াদ অন্তে টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। পর্যায় ক্রমে মাছ চাষেই তার ভাগ্য খুলে যায়। এখন সে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি নারী।

‘সফল জননী’ ভবানি নগর গ্রামের মোঃ আফজাল হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ রাহেলা পারভীন। অভাবের সংসারে অতি কষ্টে উপার্যান করে ২টি পুত্র সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তান মোঃ মাসুদ রানা বর্তমানে ঢাকা আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এবং দ্বিতীয় সন্তান মোঃ রবিউল ইসলাম দিনাজপুর হাজী দানেজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রয়েছেন।

‘নির্যাতনের বিভাষিকা মুছে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী’ বুজরকান্তপুর গ্রামের মোঃ শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা। সংসারের অভাবের কারনে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে অনেক পরিশ্রম করে বর্তমানে সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন তারা।

‘সমাজে অসাম্যন্য আবদান রেখেছেন যে নারী’ এনায়েতপুর গ্রামের মোঃ কাশেম হায়দার এর স্ত্রী মোছাঃ বিউটি খাতুন । বাল্য বিয়ে, যৌতুক ও মাদকের কুফল সম্র্পকে এলাকার জনগনকে সচেতন করেন। বর্তমানে তিনি এসডিএফ প্রকল্পের মাধ্যমে ২শ ১০ জন সদস্যকে একত্রিত করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষে সঞ্চ করার জন্য উদ্বোদ্ধ করেন। বর্তমনের সে সচ্ছলতার সহিত দুটি পুত্র সন্তানকে লেখাপড়া শিখিয়ে সুখ শান্তিতে বসবাস করছেন।

মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ৪ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতা নারী গ্রাম থেকে নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সামনে এগিয়ে চলেছে। তাদের সংগ্রাম অন্যান্য নারীদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এবং সামনে পথ চলার প্রেরনা যোগাবে আমি বিশ্বাস করি।

সাজ্জাদ হোসেন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।