অজ্ঞাত রোগে মাছে মড়ক, ৩০ লাখ টাকার ক্ষতিতে মৎস্যচাষী

260
অজ্ঞাত রোগে মাছে মড়ক, ৩০ লাখ টাকার ক্ষতিতে মৎস্যচাষী
অজ্ঞাত রোগে মাছে মড়ক, ৩০ লাখ টাকার ক্ষতিতে মৎস্যচাষী

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাটে অজ্ঞাত রোগে গুলসা জাতীয় টেংরা মাছে মড়ক লেগেছে, যে কারণে মৎস্যচাষীরা হতাশায় ভুগছেন। উপজেলার জগদল, ছোট শিবপুর ও ছোট শিবপুর মৌজার পুকুর ঘুরে দেখা গেছে, টেংরা মাছের পিঠে ও লেজের অংশে পচন ধরে খসে পড়ছে। জগদল গ্রামের মৎস্যচাষী বোরহান উদ্দিন জানান, রোগের নাম আমরা জানিনা ফিড ব্যাবসায়ীদের পরামর্শে বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করেছি, মড়ক থামাতে পারছিনা।

মৎস্য কর্মকর্তাদের আমি চিনিনা জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করিনি, তাঁরাও আমাদের খোঁজ নেননি। তিনি আরও জানান, ৫ লক্ষাধিক টাকায় ৬ বিঘা পুকুরে ১০ লক্ষ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করেছি, মাছের মৃত্যু হলে আমারও অর্থনৈতিক মৃত্যুু হবে, লোকশান গুনতে হবে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মত। এছাড়াও মৎস্যচাষী শিবরামপুর গ্রামের আব্দুল মালেক জানান, সরকারি লিজ নেয়া পুকুরে ১২লক্ষ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করেছি ইতিপুর্বে করোনা তান্ডবে মাছের নিম্নমুখী বাজারে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও জগদল গ্রামের আমজাদ হোসেন, হরিতকিডাঙ্গা গ্রামের বাচ্চ,ু মঙ্গলিয়া গ্রামের আমিনুল জানান, আমরা লিজ নেয়া পুকুরে মাছ চাষ করি, মাছের রোগ থেকে রক্ষা না পেলে আমরা পুজিহারা হবো, পথে বসতে হবে আমাদের। মৎস্যচাষী বাঁচাতে মৎস্য দপ্তরের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানান।

মাছের মড়ক বিষয়ে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ২ মাস ট্রেনিংয়ে থাকার পর অতি সম্প্রতি অফিস করছি, ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষক বোরহান অফিসে এসেছিলেন, মাছগুলিতে পাখনা পচন রোগ ধরেছে, যার শীতকালীন সময়ে হয়ে থাকে, আমরা সঠিক ঔষুধ লিখে দিয়েছি, তবে রোগের ১৫ দিন দেরি করে আসায় ভুক্তভোগীর ক্ষতির পরিমানটা একটু বেশি হয়েছে।

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।