নওগাঁয় নকল বিড়ির ছড়াছড়ি

444
নওগাঁয় নকল বিড়ির ছড়াছড়ি
নওগাঁয় নকল বিড়ির ছড়াছড়ি

মাহবুবুজ্জামান সেতু, ব্যুরো প্রধান: নওগাঁ জেলার অন্তর্গত হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট/বাজারে শুল্ক ও. কর ফাঁকি দিয়ে মাসুদ বিড়ি’র নকল পুনঃব্যবহৃত ও ছাপানো ব্র্যান্ডরোল ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রশাসনের চোখের সামনে প্রকাশ্যে অবৈধ বিড়ির বাজারজাত করন ও বিক্রি করে যাচ্ছে অসাধু লোকজন।

ভীমপুর এলাকার মাসুদ বিড়ি ফ্যাক্টরীর মূল মালিক ইউ’পি সদস্য বাবুল হোসেন বলেন,মধুর মোড়ের পাশে কাঁকনশী গ্রামে দীর্ঘদিন থেকে নকল বিড়ি তৈরী চক্রের সাথেজড়িত মৃত লয়েজের ছেলে মকলেছ, বেলালের ছেলে ময়েন, আফজালের ছেলে ফারুক, শরিয়তুল্যাহ ওরফে শশীর ছেলে সাইদুর রহমান, বারেকের ছেলে মামুন,ফিছুর ছেলে নয়ন এবং ইসলামসহ অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এই অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। যেনো দেখার কেই কেউ নেই! সরকার স্বাস্থ্যখাতের ঝুঁকি এড়াতে ও তামাকজাত দ্রব্যকে নিরুৎসাহিত করতে বছর বছর এখাতের উপর বাড়তি করারোপ করে যাচেছ।

২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাজেটে বিড়িরমূল্যস্থর ১২% সম্পূরক শুল্ক ৫% অগ্রীম কর ১০% বাড়িয়ে মোট শুল্ক বৃদ্ধি করে ২৪.২০%। বর্তমানে প্রতি হাজার বিড়িতে মোট শুল্ক দিতে হয় ৩১৩.৬০ টাকা। এছাড়া বিড়ির কাগজ তামাক ফিল্টার পরিবহন ও বাজারজাত করন খরচ দিয়ে কোনভাবেই ২৫ শলাকার এক প্যাকেট বিড়ি ১৪ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব নয়। যদি কেউ তা করে থাকে তাহলেধরে নিতে হবে সেটাই অবৈধ বিড়ি।অথচ সরকারের এই নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় এইসব অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল ও ছাপানো ব্র্যান্ডরোল ব্যবহার করে নির্ধারিত মূল্যেরও প্রায়অর্ধেক দামে ৭/৮ টাকা দরে বাজারে বিড়ি বিক্রয় করছে।

এতে একদিকে যেমন সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে বৈধভাবে সরকারকে শুল্ক ও কর পরিশোধ করা কোম্পানী মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে করে সরকারের মুলনীতি স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ধূমপানকে নিরুসাহিত করার বদলে কম মূল্যে ও সস্তায় বিড়ি পেয়ে আরো বেশি করে সাধারণ মানুষ ধূমপানের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।

মাঝখান থেকে লাভবান হচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশের বৈধ ভাবে ব্যবসা করা বিড়ি কোম্পানী গুলো আর সরকারহারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে স্থানীয় কাষ্টমার ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে তারা একাজনির্বীঘে করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রত এরবিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের শ্রমঘন এই শিল্পটি ধসে পড়বে দেশের রাজস্ব আহরণের বড় এ খাতটি বাধাগ্রস্ত হবে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ভেঙ্গে পড়বে স্বাস্থ্যখাত বাধাগ্রস্থ হবে সু-শাষণ মাথা চাড়া দিবে দেশের দূর্নীতিখাত।

অতএব, উপরোক্ত বিষয়টির গুরুত্বানুধাবন পরবর্তী বিষয়টির ব্যাপকতারোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন ও এসব ব্যবসার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বাজারে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করলেই বন্ধ হবে এই অপতপরতা ঘুরে দাঁড়াবে দেশের রাজস্বখাত এই ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে পারে স্থানীয় কাষ্টমার; ভ্যাটএক্সাইজ ও রাজস্ব বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।