ফোরকান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বদলি

389

মামলা এখন গোয়ান্দা পুলিশের হাতে

আশিক সুজন, জেলা প্রতিনিধি বগুড়া :-বগুড়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজের নামে জমি কেনার অভিযোগ উঠেছে ৷ ১১মার্চ ২০২১ইং এ দৈনিক চাঁদনী বাজার, দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন, নর্থ বেঙ্গল নিউজ ২৪ সহ বগুড়া শহরের বেশকিছু পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে, প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনা অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ইতোমধ্যে তাকে বদলিও করা হয়েছে।
বগুড়ার শাহজাহানপুরের ফুলতলায় যুবলীগ কর্মি ফোরকান হত্যা মামলার আসামীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ২৪৩৫ নম্বর দলিলে সাজাপুর মৌজায় ৪৭৯৯ নম্বর দাগে দাতা মালেকা বেওয়ার ৬ শতক জমি নিজ নামে কিনেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ ওহিদুজ্জামান ৷
গত ফেব্রুয়ারীর ২২ তারিখে শহরের ফুলতলা এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ কর্মি ফোরকান চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন সকালে মারা যান ফোরকান। এ ঘটনায় তার মা মোছাঃ শাহানা বেওয়া বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জানের নামে মামলা করেন শাহজাহানপুর থানায় ৷
নিহত ফোরকানের মা শাহনা বেওয়া বলেন,আসামীদের অনেকেই পরিচিত হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তারে নানা তালবাহানা করেন ওই তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: ওহিদুজ্জামান।আসামীদের থেকে টাকা নিয়ে নিজের নামে জমি কিনেন তিনি।
এলাকায় আসামীরা চলাফেরা করলেও তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না এস আই ওহিদুজ্জামানের। কয়েকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি এ সব কথাই জানান নিহত ফোরকানের বড় ভাই ফয়সাল।
তদন্ত শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই আইন লংঘন করে কর্মস্থলে ১৪ লাখ ৯০ হাজার টাকায় জমি কেনের তিনি। এলাকাবাসির অভিযোগ জমি কিনতে আসামী পক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছেন পুলিশের ওই সদস্য।
এ বিষয়ে এস আই মোঃ ওহিদুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, “জমি কেনার বিষয়টি সত্য তবে কারো কাছ থেকে বা আসামীর স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জমি কিনেছি এমন অভিযোগ মিথ্যা।”
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রশাসনিক কাজের স্বার্থে গত ১৩ মার্চ এস আই ওহিদুজ্জামানকে বদলি করা হয়েছে।
বগুড়া পুলিশের মিডিয়া প্রধান ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফয়সাল মাহমুদ জানান, প্রাথমিক তদন্তে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় ওহিদুজ্জামানকে তৎক্ষনিকভাবে বদলি করে সিরাজগঞ্জে দেয়া হয়েছে। আর এ মামলার তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশকে।
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।