ধুনটে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে সরকারি কর্মচারীকে মারপিট, আটক ২

255

কারিমুল হাসান, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সোহরাব হোসেন নামের এক সরকারি কর্মচারী (সার্ভেয়ার) কে মারপিট ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবীর মামলায় যুবলীগ নেতা ও পাঁচটি মামলার আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আপেল মাহমুদ (৩২), নিমগাছি গ্রামের সোলায়মান আলীর ছেলে ও ২০০৪ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত হত্যা, ছিনতাই, মাদক ও চাঁদাবাজী সহ ৫টি মামলার আসামি মামুনর রশিদ তপন (৪৭)।

গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার দুপুরে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে ধুনট-বাগবাড়ী সড়কের বেড়েরবাড়ী বাঙালি নদীর সেতুর উপর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। এসময় মামলার অপর আসামী রেজাউল করিম উজ্জল পালিয়ে যায়। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাংলু গ্রামে বাঙালি নদীর তীরে তিন মাস আগে থেকে সরকারি ভাবে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের কাজ তদারকির দায়িত্ব পালন করেন উপজেলার ভুমি কার্যালয়ের প্রসেস সার্ভেয়ার এসএম সোহরাব হোসেন।অন্যান্য দিনের ন্যায় মঙ্গলবার বিকেল প্রকল্প এলাকায় মাটি ভরাটের কাজ তদারকি করছিলেন সোহরাব হোসেন।

এ সময় যুবলীগ নেতা আপেল মাহমুদ, মামুনর রশিদ ও রেজাউল করিম উজ্জল দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। কিন্ত সোহরাব হোসেন চাঁদা দিতে রাজী না হওয়ায় তাকে মারপিট করে ও সার্ভেয়ারের মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আপেল মাহমুদ, মামুনর রশিদ ও রেজাউল করিম উজ্জলকে আসামী করা হয়। ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার প্রমান পাওয়া গেছে। এই মামলার অপর আসামীকে গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে।

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।