ইসলামি ডেস্কঃ ইতিহাস জুড়ে কালজয়ী মহামানবেরা দুনিয়াতে পদার্পন করেছেন। তাদের মধ্যে নূহ (আলাইহিসসাল্লামঃ তার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক), যাকে বাইবেল বলে নোয়াহ (Noah)। এরপর এসেছেন ইব্রাহিম (আঃ) বা Abraham, ইয়াকুব (আঃ) বা Jacob, দাউদ (আঃ) বা David, মূসা (আঃ) বা Moses, ঈসা (আঃ) বা Jesus। এগুলো কোন গালগল্প নয় – বরং একদম ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং ইহুদি, খ্রীষ্টান, মুসলমান নির্বিশেষে সবাই এদেরকে বিশ্বাস করে। ডেভিড বনাম গোলিয়াথের গল্প পড়েছেন না? ইনিই সেই দাউদ এবং এই কাহিনী কোরআনেও আছে।
কোরআন কি জিনিস একটু পর বলছি। এরা শুধু আল্লাহর নবী ছিলেন বলেই নয়, তাদের সুপার-হিউম্যান গুনাবলীর জন্য তারা সময়কে জয় করেছেন; যার ফলে লিপিবদ্ধ ইতিহাসে তাদের অত্যন্ত বিশদভাবে ও গুরুত্বের সাথে ঠাঁই হয়েছে। ভাল কথা – এতক্ষনতো আল্লাহর নবীদের কথা অনেক বললাম। নবীরা হলেন আল্লাহর পছন্দ করা ধর্মপ্রচারক। এদের কাউকে কাউকে আল্লাহ তাদের গোত্রের জন্যে জীবনযাপনের ম্যানুয়েল দিয়েছেন। এগুলোকে ধর্মগ্রন্ধ বলে।
ইসলামের কাল পরিক্রমায় ৪টি বড়সড় ধর্মগ্রন্ধ ছিল। দাউদ (আঃ) পেয়েছিলেন ‘যাবুর’ বা Psalms নামের গ্রন্ধ, মূসা (আঃ) পেয়েছিলেন ‘তাওরাত’ বা Torah আর ঈসা (আঃ) ‘ইঞ্জিল’ বা Gospel। যারা ধর্মগ্রন্ধ আল্লাহর তরফ থেকে পেয়েছেন তাদের নবীর পাশাপাশি রাসূল বা আল্লাহর বার্তাবাহক (messenger) ও বলা হয়ে থাকে।
মুহাম্মাদ (সাঃ) তেমনই একজন নবী ও রসূল ছিলেন। তবে তিনি একদম শেষ নবী ও রসূল এবং তিনি পেয়েছেন ‘কোরআন’ নামের আল্লাহর একটি গ্রন্ধ। তিনিই শেষ, এরপর আর কোন রাসূল বা ধর্মগ্রন্ধ আল্লাহ আমাদের কাছে পাঠাবেন না।
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না। |