
বগুড়ার সৌখিন ও বৈধ পোষাপাখি ব্রিডারদের উদ্যোগে এবং বাজেরিগার সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় আজ শুক্রবার ইকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অডিটোরিয়ামে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলো “প্রথম বাজেরিগার স্কুল প্রোগ্রাম”।
এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রদর্শনী ও সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে স্থানীয় ৫০ জন বৈধ খাঁচার পাখিপালক অংশগ্রহণ করেন। প্রদর্শিত হয় ৭৪টি বাজেরিগার, ১০টি লাভবার্ড এবং কোকাটিয়েল পাখি। পাখিগুলোর সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যে উপস্থিত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অতিথিদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়।
বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বাজেরিগার সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক সুলতান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন সুজা।
বিচারকার্য পরিচালিত হয় পাখির সৌন্দর্য, স্বাস্থ্য, রঙের বৈচিত্র্য, গঠন এবং ওয়ার্ল্ড বাজেরিগার অরগানাইজেশন এর নির্ধারিত মানের ওপর ভিত্তি করে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈধ খাঁচার পাখি পালন বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করা, পাখির স্বাস্থ্য, পরিচর্যা ও ন্যূনতম খাঁচার মাপ সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করা এবং শিক্ষিত যুবসমাজকে সচেতন পোষাপ্রেমী হিসেবে গড়ে তোলা এবং তাদের মাদক থেকে দূরে রাখা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এভিয়ান হেলথ স্পেশালিস্ট ড. সালাহউদ্দিন শাকিল খাঁচার পাখির স্বাস্থ্য, সঠিক চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, বৈধ খাঁচার পাখি পালন শুধু সৌখিনতাই নয়, এটি একটি দায়িত্বশীল প্রাণী কল্যাণ চর্চা। নিয়মতান্ত্রিক, বৈজ্ঞানিক ও ন্যায্য পদ্ধতিতে পাখি পালন করলে পরিবেশের ভারসাম্য যেমন রক্ষা পায়, তেমনি নতুন প্রজন্মের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ, দায়িত্ববোধ ও প্রাণীপ্রেম গড়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিলেন শামস বার্ডস স্যান্চুয়ারির স্বত্বাধিকারী মো. শামস তিবরিস কুশল, পেটস প্যারাডাইস ও পেটস বার্ডস প্যারাডাইসের স্বত্বাধিকারী আরিফুর রহমান মণ্ডল।
আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে স্কুল-কলেজে সচেতনতা কার্যক্রমের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের জন্য ইনফো-গাইড, সচেতনতামূলক লিফলেট এবং বাস্তব প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। জেলার অন্যান্য স্কুলেও পর্যায়ক্রমে এ ধরনের সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।